ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে বিতরণকৃত ক্ষুদ্র, মাঝারি ও মাইক্রো (সিএমএসএমই) এবং অন্যান্য খেলাপির বিপরীতে প্রভিশন বা সংস্থান সংরক্ষণের মাধ্যমে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশনিংয়ের নিয়ম শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এক সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিএমএসএমই ঋণের নিম্নমান বা প্রাথমিক মানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। সন্দেহমান বা মধ্যম মানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে আর মন্দ ও ক্ষতি মানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
সিএমএসএমই ঋণ বাদে অন্যান্য সব ঋণের খেলাপি ঋণে নিম্নমানের বিপরীতে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ ও ক্ষতি মানের ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
‘বিশেষ উল্লেখ হিসাব’ (এসএমএ)- এর অধীনে শ্রেণিকৃত ঋণের হিসাবের বকেয়া স্থিতি থেকে স্থগিত সুদ বাদ দেওয়ার পর প্রাপ্ত স্থিতির ওপর ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন বা সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে। তবে, সিএমএসএমই ঋণের ক্ষেত্রে প্রভিশন হার হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
Leave a Comment